Sunday, 26 June 2016

ধাপে ধাপে মেকআপ

১। ক্লেনজার বা ফেস ওয়াশ লাগিয়ে কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। পরিষ্কার নরম তোয়ালে দিয়ে মুখ মুছে নিন।

২। টোনার ব্যবহার করুন। টোনার ত্বকের তৈলাক্তভাব কমাতে সাহায্য করে। শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।

৩। ব্রণ, অ্যাকনে বা ত্বক পরিচর্যায় মেডিকেশন লাগাতে পারেন।

৪। সেরাম ও আইক্রীম লাগান। এটি ত্বকের কোলাজেন ডেমেজ প্রতিরোধ করে। শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।

৫। ময়েশ্চারাইজার লাগান। শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।

৬। সানস্ক্রীন লাগান। কমপক্ষে ৩০ এসপিএফযুক্ত সানস্ক্রীন ব্যবহার করবেন। সানস্ক্রীন সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে। শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।

৭। মুখে ও গলায় প্রাইমার লাগান। প্রাইমার ত্বকের ছিদ্রগুলো ছোট করে দেয়। ফলে, কনসিলার ও ফাউন্ডেশন ভালোভাবে ত্বকের সাথে মিশে যায়।

৮। এবার কনসিলার লাগান। হাতের আঙ্গুল দিয়ে ড্যাব করুন ও ব্লেন্ড করুন। ত্বকের চেয়ে এক শেড হালকা রঙের কনসিলার বেছে নিন। ডার্ক সার্কেল, ব্লেমিশভাব বা যে কোনো দাগ ঢাকতে কনসিলার ব্যবহার করা হয়।

৯। গাল, থুতনি, কপাল ও গলায় ফাউন্ডেশন লাগান।

১০। ফেসপাউডার লাগান।

১১। ব্রোঞ্জার ও হাইলাইটার লাগান। ব্রোঞ্জার ত্বকের রঙের থেকে গাঢ় ও হাইলাইটার হালকা শেডের হয়ে থাকে। মুখের জ লাইনে ব্রোঞ্জার ও চিকবোনে হাইলাইটার লাগান।

১২। হাসুন। গালের আপল থেকে হেয়ারলাইন পর্যন্ত ব্লাশ লাগান।

১৩। আইব্রো পেন্সিল দিয়ে ছোট ছোট রেখায় আইব্রো আঁকুন। ব্রাউন ও গ্রে শ্যাডো ব্যবহার করতে পারেন।

১৪। আইশ্যাডো, আইলাইনার ও মাসকারা লাগান। ফলস আইল্যাশ ও ব্যবহার করতে পারেন।

১৫। লিপবাম বা লিপ প্রাইমার লাগান। লিপলাইনার দিয়ে ঠোঁট আঁকুন। লিপস্টিক অথবা লিপগ্লস ব্যবহার করুন।

১৬। সবশেষে, মেকআপ সেটিং স্প্রে ব্যবহার করুন। শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।

Monday, 13 June 2016

ট্রেন্ডি আংটি

দেশের গণ্ডিতে এক সময় আংটি ফ্যাশন হিসেবে ব্যবহার করত বিবাহিত নারীরা। তাও সোনার বাইরে নয়। সময়ের সঙ্গে মানুষের আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিচরণ বদলে দিয়েছে সেই রীতি। আঙুলের স্টাইলিশ আংটি এখন তরুণীদের নিয়মিত সজ্জায় চোখে পড়ে। আঙুলে আংটি থাকা চাই চুড়ি, টিপের মতোই। সোনার থেকে বেরিয়ে এসে বদলে গেছে মেয়েদের ম্যাটেরিয়াল রুচিও। কাঠ, পিতল, পুঁতি, মুক্তা, পাথরের মধ্যেই এখন রয়েছে ট্রেন্ডি ডিজাইনের আংটি। আংটির ডিজাইনেও প্যাটার্নের প্রাধান্যতা পরিলক্ষিত। একটু বড় আকারের আংটি এখন ফ্যাশনে ইন।  আভিজাত্য চলে আসতে পারে এতেই। ফ্যাশনে নতুন কিছুর কদর থাকে সব সময়ই। একসময় সোনা কিংবা হীরার আংটিতে মেয়েদের উৎসাহ থাকলেও আজকাল নানা উপাদানে তৈরি হচ্ছে আংটি। ডিজাইনেও এসেছে অভিনবত্ব। আনুষ্ঠানিক কিংবা অনানুষ্ঠানিক—যেকোনো জায়গাতেই মানিয়ে যাচ্ছে এগুলো।

বাজার ঘুরলেই চোখে পড়ে বিভিন্ন নকশা ও আকারের আংটি। অ্যান্টিক, ব্রোঞ্জ, রুপা, পাথর, পুঁতি, গোল্ড প্লেটেড, ডায়মন্ড কাট, অক্সিডাইজড, বেত ও কাঠের তৈরি আংটি পাওয়া যাচ্ছে। নতুনত্ব আনতে আংটির আকৃতিও বদলে গেছে। ত্রিভুজাকৃতি, ডিম্বাকৃতি, গোলাকার, চৌকোণা, গম্বুজাকৃতি এমন পশুপাখির মুখের আদলেও আংটি পাওয়া যাচ্ছে।

বিভিন্ন ফ্যাশন হাউসের এক্সেসরিজ সেকশনে দেখা মেলে ট্রেন্ডি এবং ভিন্ন ভিন্ন ডিজাইনের আংটি। ফ্যাশনকে আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে অনুসরণ করতে গিয়েই আংটির এমন চল বলে মনে করেন ফ্যাশন হাউস ক্যাটস আইয়ের ডিজাইনার সাদিক কুদ্দুস। তিনি বলেন, পোশাকের সঙ্গে এক্সেসরিজও এখন ট্রেন্ডি। এই রীতি শুধু একটি-দুটি দেশে নয়। সমগ্র বিশ্বে এ পরিবর্তন একই সঙ্গে আসে। সেই ধারায় এখন একটু বড় আকৃতির আংটির চল এসেছে।
মেয়েদের ট্রেন্ডি পোশাকের সঙ্গে মিল রেখেই করা হয় এ আংটিগুলোর ডিজাইন। তাই লং কামিজ, কুর্তা, ফতুয়া, টপসের সঙ্গে এ ধরনের আংটি একদম মানানসই। পরা যেতে পারে শাড়ি, আভোয়া, হিজাবের সঙ্গেও। তবে আংটির ডিজাইনে রয়েছে কয়েক ধরন। মূলত মোটিফ থেকেই পরিবর্তন আসে নকশার। নকশাগুলোতে মিলবে ঐতিহ্যের ছোঁয়া, ফুলেল মোটিফ, মুকুট, মুখচিত্র। কোনো কোনো ক্ষেত্রে পাথরের মতো ম্যাটেরিয়ালের সমান লম্বা প্যাটার্ন। আর দেশি পোশাকের সঙ্গে ঐতিহ্যবাহী নকশার আংটিই বেশি মানানসই। ফুলেল বেশি মানানসই সিল্ক, জামদানি শাড়ি এবং টপসের সঙ্গে। একটু পশ্চিমা লুকের জন্য মুকুট, মুখচিত্রের মতো নকশা ঠিকঠাক। কিছু আংটির নকশায় দেখা মিলবে মজার কিছু বার্তা। তার মধ্যে আছে ফলের আকৃতি, চিঠির খাম, রেডিও, মিউজিক্যাল লোগো, বাটারফ্লাই প্রভৃতি। মুখচিত্রের মধ্যে চলে আসছে চে গুয়েভারা, সুচিত্রা, রবীন্দ্রনাথ, কাজী নজরুল, ভার্সেজের মতো জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব।


আংটির রঙের ক্ষেত্রেও দেখা যায় ভিন্নতা। মোটেই চাকচিক্যের দেখা নেই কোনো ডিজাইনে। অ্যান্টিক মেটাল এবং ডার্ক কালারের মধ্যেই দেখা যায় বেশিরভাগ নকশা। তাই ড্রেসআপের সঙ্গে ঠিক কালার রেখে ব্যবহার করতে হবে এমন আংটি। এ ক্ষেত্রে পোশাকের সঙ্গে না মিলিয়ে বরং তার বিপরীত রঙের মধ্যে নেওয়াই মানানসই। পোশাক ও গহনা দুটিই জমকালো হলে ভালো দেখায় না। তাই পোশাক ও অনুষঙ্গের মধ্যে সব সময় ভারসাম্য বজায় রাখা উচিত। একটি জমকালো হলে আরেকটি হওয়া চাই সাধারণ। তবে অন্যান্য এক্সেসরিজের সঙ্গে মিল থাকতে পারে আংটিরও। এ ক্ষেত্রে খুব মোটা বালা, চুড়ি না পরাই ভালো। পরলেও তা হতে হবে খুব সাদামাটা, ছিমছাম। তবে চাইলে অন্য হাতে ঘড়ির মতো বড় এক্সেরিজও মানানসই হবে। লম্ব্বা আঙুলে এ ধরনের আংটি দেখতে খুব সুন্দর। যাদের হাত বেশি রোগা এবং আঙুলগুলো ছোট, তাদের বড় আংটি এড়িয়ে যাওয়াই হবে বুদ্ধিমানের। তাদের ক্ষেত্রে উঁচু আংটি না পরে বড় কিন্তু সমতল নকশার একটি বেছে নেওয়া ভালো হবে।


চোখে পড়ে আংটির প্যাটার্নে বৈচিত্র্যও। তার মধ্যে বেশির ভাগই জ্যামিতিক আকারের বাইরে। তবে গোলাকার, চার কোণ, ত্রিকোণাকৃতির নকশাও রয়েছে বেশ। বড় আকৃতির এ আংটিগুলোর প্রায় সবই রুপা, পাথর, কাঠ, মুক্তা ও মিনা করা ডিজাইনের। নকশায়ও রয়েছে নানা বৈচিত্র্য। আকারে বড় হলেও তা যেন হয় আরামদায়ক সে চিন্তা করেই নকশা করা হয়। যেমন কাঠের বড় আংটিগুলো দেখতে ভারী মনে হলেও তা আসলে অনেক হালকা। আকারে বড় হলেও যেন কাজের সময় অসুবিধা না হয়, সে কথা মাথায় রেখেই আংটিগুলোর নকশা করা হয়েছে।



ফতুয়া-জিনসের মতো পাশ্চাত্য পোশাকের সঙ্গে নানা রঙের জিগজ্যাগ আংটিও বেশ মানিয়ে যায়। এক্ষেত্রে বড় আংটির সঙ্গে হাতভর্তি চুড়ি পরলে ভালো দেখাবে না। বদলে ব্রেসলেট বা খালি হলেই সুন্দর দেখাবে। জমকালো অনুষ্ঠানে সোনার প্রলেপ দেওয়া আংটি পরতে পারেন। এতে থাকতে পারে কুন্দন ও পাথরের কারুকাজ। শাড়ি, সালোয়ার-কামিজ উভয়ের সঙ্গেই মানিয়ে যায় এ আংটিগুলো। রঙিন মিনা করা আংটিও পরতে পারেন। এ সময়ে বেশ চলছে ডায়মন্ড কাটের আংটিগুলো। ফতুয়া ও জিনসের সঙ্গে দেশি ঢঙের রঙিন পুঁতি, নারিকেলের মালা, বোতাম বা একটি বড় পাথরের বড় একটি আংটি বেশ ভালো লাগবে।


 --সংগৃহীত

কপালে টিপ

tip-tip-april-2

টিপ আর বাঙালি নারীর কপাল যেন অবিচ্ছেদ্য। কয়েক বছর পরপর ফ্যাশন ট্রেন্ডে পরিবর্তন আসে। কিন্তু যুগ যুগ ধরে টিপের ফ্যাশন মোটামুটি একই। ডিজাইনে কিঞ্চিৎ ভিন্নতা     থাকলেও হাল ফ্যাশন থেকে টিপ কখনোই বিচ্যুত হয়নি। শুধু শাড়ি আর সালোয়ার-কামিজের সঙ্গে নয়, পশ্চিমা পোশাকের সঙ্গেও টিপ পরেন অনেকেই। কপালে এক টুকরো রঙের মহিমা বাঙালি নারী ছাড়া আর কারাই বা বুঝেছে।
মুখের সৌন্দর্য পরিপূর্ণভাবে ফুটিয়ে তোলে টিপ। তাই এটি নির্বাচনে সচেতন হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। মুখের গড়নটা এ ক্ষেত্রে বিবেচ্য। তবে নিজের পছন্দের প্রাধান্য জরুরি। মুখের গড়ন অনুযায়ী টিপ পরলে তা ভালোভাবে ফুটে ওঠে। কেউ কেউ পোশাকের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে টিপ পরে, কেউ এক্সপেরিমেন্ট করতে ভালোবাসে। বাজারে এখন নানা ডিজাইনের, আকারের ও রঙের টিপ পাওয়া যায়। তবে কিনতে হয় সেটিই, যেটা মানিয়ে যাবে। কপালের টিপ নির্বাচনে খেয়াল রাখতে হবে মুখের গড়ন এবং পোশাকের ধরন ও রঙ।
প্রথমে জেনে নিন কোন ধরনের চেহারার সঙ্গে কোন আকারের টিপ মানানসই।

গোল মুখ

চেহারার গোলত্ব কমানোর জন্য একটু লম্বাটে টিপ পরতে হয়। এ ক্ষেত্রে খুব বড় টিপ এড়িয়ে যাওয়া ভালো।

ডিম্বাকৃতি

ডিম্বাকৃতি মুখে কপাল ও চিবুকের শেপ অনেকটা একই রকম হয়, ফলে যেকোনো ধরনের টিপ দিব্যি মানিয়ে যায়। বড় টিপে মুখের আকৃতি বড় মনে হয়, তাই খুব বড় টিপ না পরাই ভালো।

পান আকৃতি

মুখে কপালের অংশ তুলনামূলকভাবে চওড়া হয়, তাই বড় টিপ যথাসম্ভব এড়িয়ে চলতে হবে। লম্বাটে টিপও এ ধরনের মুখ বড় করে তোলে, তাই এটা না পরাই ভালো। এই শেপে ছোট টিপ বেশি মানানসই।

ত্রিকোণ

এ ধরনের মুখে কপালটা বেশ ছোট দেখায়, তাই যেকোনো আকারের যেকোনো টিপ এই মুখের আদলে সুন্দর মানিয়ে যায়।
tip-tip-april-1
টিপ সবচেয়ে বেশি মানানসই দেশীয় পোশাকের সঙ্গে। পাশ্চাত্য পোশাকেও মানিয়ে নেয়া যায়। সুতি শাড়ির সঙ্গে টিপ খুব মানানসই। শাড়ির রঙে মিলিয়ে টিপ পরা যায়। নিমন্ত্রণে যাওয়ার পোশাকের সঙ্গে অর্নামেন্টাল টিপ বেশি ভালো দেখায়। অন্য দিকে সারা দিনের ব্যস্ততায় ছোট গোল বা লম্বা টিপ ব্যবহার করাই ভালো।
এখনকার টিপের ডিজাইনেও রয়েছে ভিন্নতা-

গোল টিপ

আদিকাল থেকে কুমকুমের টিপের সঙ্গে সঙ্গে চলে এসেছে গোল টিপের চল। বিবাহিত হিন্দু নারীরা সিঁদুরের টিপ পরতেন কপালে, যা এখনো রয়েছে। বাজারে পাওয়া যায় রেডিমেড টিপ, টিপের পাতা কিনে তা থেকে একটি তুলে কপালে বসিয়ে নিলেই হয়ে গেল। বর্তমানে বিভিন্ন রঙের টিপ পাওয়া যাচ্ছে। লাল, কালো, সবুজ, হলুদ, নীলের মতো একরঙা টিপের পাতা সর্বত্রই সহজলভ্য।

ফ্যাশনেবল পাথরের টিপ

কপালে টিপ আছে কি নেই, বোঝা যায় না, শুধু মাঝে মাঝে ঝিলিক দিচ্ছে। পাথরের টিপ এমনই। এটা ছোট হয়ে থাকে সাধারণ আকৃতির তুলনায়। একরঙা বা বহুরঙা পাথরের টিপ দুর্লভ কিছু নয়। অনুষ্ঠানে পরার জন্য বেশ জুতসই।

মিশ্রণ

ব্যতিক্রমী সাজের জন্য ফ্যাশনপ্রেমী মেয়েরা দু-তিন ধরনের টিপ মিলিয়ে পরেন। যেমন পাথরের টিপ কিংবা সাধারণ গোল টিপের সঙ্গে এঁকে নেন আলপনা, আবার দু-তিনটি টিপ একসঙ্গে পরলেও ভিন্নতা আসে সাজে।

দুই টিপ একসঙ্গে

দুটি আলাদা রঙের টিপ একটির ওপর অন্যটি দিয়ে পরা যায় কপালে। সাধারণ বড় একটি টিপের নিচে ছোট টিপে সাজানো যায় কপাল, পোশাকের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে।

কুমকুম/রঙ

নিজের সৃষ্টিশীলতা দিয়ে কপালটিকে সাজাতে পারলে আরও ভালো। রেডিমেড টিপ নয়, রঙিন কুমকুম বা রঙ দিয়ে, ইচ্ছামতো ডিজাইন অনুযায়ী সাজিয়ে নিলে চেহারায় আলাদা সৌন্দর্য সৃষ্টি হতে পারে।
ফুটপাত থেকে শপিং মল- সবখানেই এখন টিপ পাওয়া যায়। দামও হাতের নাগালে। দশ টাকা থেকে শুরু করে নানা দামে টিপ পাওয়া যায়। তবে একটু ভিন্ন ডিজাইনের জন্য ঢুঁ মারতে হবে ধানমন্ডির বিবি প্রোডাকশন্সে ও শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটে। কাপড়ের টিপও পাওয়া যায়। বিবি প্রোডাকশন্সে পাওয়া যায় গোল, রঙিন টিপ। একরঙা টিপের ওপর আঁকা রঙিন ফুল কিংবা আস্ত এক সূর্য বাঙালি নারীর সাজকে পরিপূর্ণ করবে বৈকি!

মনে রাখার জন্য

  কানের দুল যদি বড় হয়, তাহলে টিপটা ছোট পরলেই ভালো দেখাবে
  অনেক সময় টিপের আঠার কারণে কপালে র‌্যাশ দেখা দেয়। সেই সমস্যা থেকে বাঁচার জন্য টিপ খোলার পরই বেবি অয়েল দিয়ে আঠা মুছে ফেলুন
 কেনার সময় খেয়াল করে দেখে নিন, আঠা টিপের অনেকটা অংশজুড়ে লাগানো আছে কি না
  ভেজা আবহাওয়ায় স্টিকার টিপ পরুন
  বৃষ্টির দিনে কিংবা যদি খুব বেশি ঘামার প্রবণতা থাকে, তাহলে কুমকুম বা আলপনা ব্যবহার না করাই ভালো
  সুরবি প্রত্যয়ী

মডেল: রোজ
মেকওভার: পারসোনা
ছবি: ক্যানভাস
সূত্রঃ ক্যানভাস

Wednesday, 8 June 2016

আইলাইনারের রকমফের


চোখ যে বলে মনের কথা-আর এই মনের কথা ফুটিয়ে তুলতে চাই কাজল বা আইলাইনার। কিন্তু আইলাইনারের ধরন অনুযায়ী ব্যবহারেরও আছে ভিন্নতা। সাধারনত চার ধরনের আইলাইনার হয়ে থাকে। সেগুলো ব্যবহারের সুবিধা ও অসুবিধাগুলো নিম্নরূপ:


লিকুইড আইলাইনারঃ
যুগ যুগ ধরে চোখের সাজের অন্যতম উপকরন হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে লিকুইড আইলাইনার। তাই এই আইলাইনার বহুল ব্যবহৃত ও সর্বাপেক্ষা পরিচিত। সাধারনত ছোট পাত্রে বা টিউবে সংরক্ষণ অবস্থায় পাওয়া যায়।
সুবিধা
১। চোখের সাজে নাটকীয়তা আনে
সুনির্দিষ্ট আকৃতি ফুটিয়ে তোলে।
৩। আইল্যাশ ঘন দেখায়।
৪। অ্যারাবিক লুক দিতে এই আইলাইনার ব্যবহার করা হয়।
অসুবিধা
১। প্রয়োগ কঠিন।
২। সূক্ষ্ম রেখা আঁকতে ধৈর্য্য ও অনুশীলন জরুরী।
৩। চোখের নিচের পাতায় ব্যবহার করা যায় না।

ক্রীম বা জেল আইলাইনার
ছোট ছোট পাত্রে জেল আইলাইনার সংরক্ষন করা হয়। এই আইলাইনার চেপ্টা কিন্তু কোণা করে কাটা এক ধরনের বিশেষ ব্রাশ দিয়ে চোখে লাগাতে হয়।
সুবিধা
১। ব্যবহারবিধি সহজ।
২। স্মোকি আই লুক পেতে এই আইলাইনার ব্যবহার করা হয়।
অসুবিধা
১।পেন্সিল আইলাইনারের মতো সবসময় বহনযোগ্য নয়।

পেন্সিল আইলাইনারঃ
পেন্সিল আইলাইনার সাজের সময় চোখে লাগানো খুবই সহজ। এটি বিভিন্ন রঙের হওয়ায় যে কোন ধরনের সাজ দেওয়া সহজ হয়।  অনেক সময় ক্রিম আইশ্যাডোর বিকল্প হিসেবে চোখের পাতায় সূক্ষ্ম দাগ আঁকতে ব্যবহার করা হয়।
সুবিধা
১। ব্যবহারবিধি সহজ।
২। অনেক রঙের হয়ে থাকে।
৩।সহজলভ্য, সুপরিচিত  ও বহনযোগ্য।

কোহল আইলাইনার বা কাজল
কোহল আইলাইনার বা কাজল মধ্যপ্রাচ্যে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।
সুবিধা
১। সূক্ষ্ম রেখা টানা সহজ।
২। সহজে বহনযোগ্য
অসুবিধা
১।  চোখের চারপাশে ছড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।